ভূমিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২১-এর খসড়ার উপর মতামত আহবান
(ঢাকা, শনিবার, ২২ জানুয়ারি ২০২২) ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২১ প্রনয়নের লক্ষ্যে এর প্রাথমিক খসড়া (বিল) ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (https://minland.gov.bd/) প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২২’-এ ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই আইনের খসড়া প্রকাশ ও সবার মতামতের গুরুত্বের ব্যাপারে বলেন। এই সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সভাপতি হিসেবে, এবং ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার সরকারি জমি অবৈধ দখল দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন সংশোধন কিংবা নতুন আইনে প্রণয়নের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে জমি দখল, দুর্নীতি ও জমি সংক্রান্ত মামলা কমাতে একটি কার্যকর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ভূমিমন্ত্রী ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২১-এর প্রাথমিক খসড়া তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১-এর প্রাথমিক খসড়ায় ভূ-সম্পদ সম্পর্কিত ২২ ধরনের/শ্রেণির অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব অপরাধের শ্রেণি ও মাত্রা ভেদে ন্যূনতম ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে প্রাথমিক খসড়ায়। এছাড়া অপরাধ পুনঃ-সংঘটনের জন্য পূর্ববর্তী শাস্তির দ্বিগুণ দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি শ্রেণির অপরাধকে অজামিনযোগ্য হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, জমির পরিমাণ ও অপরাধীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বর্ধিত সাজারও বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবনায়।
বাংলাদেশে সিংহভাগ মামলা হয় ভূমিকেন্দ্রিক বিরোধের জেরে। ভূমি সম্পর্কিত অপরাধ ও বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিকারকল্পে দাখিলকৃত দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দীর্ঘ সময় বিচারাধীন থাকায় উভয় ক্ষেত্রে সৃষ্ট মামলাজট জনগণের জন্য যে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা নিরসনে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২১ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক খসড়ার উপর নাগরিক ও অংশীজনের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্ত মতামতের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে প্রাথমিক খসড়াটি সংশোধন করে সংশোধিত খসড়া প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রমিতীকরণের জন্য পাঠানো হবে। উক্ত প্রমিতীকৃত খসড়াটি পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর মধ্যে দিয়ে আইন প্রণয়নের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
# বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক/প্রতিষ্ঠান নিম্নোক্ত ঠিকানায় গিয়ে প্রাথমিক খসড়ার উপর তাঁর মূল্যবান মতামত দিতে পারেন:
https://minland.portal.gov.bd/forms/form/Opinions
# ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১-এর অন্যতম উদ্দেশ্য:
# ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১-এর প্রাথমিক খসড়ায় ভূ-সম্পদ সম্পর্কিত ২২ ধরনের/শ্রেণির অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে:
উল্লেখ্য, পরবর্তীতে মতামতের ভিত্তিতে প্রাথমিক খসড়ায় প্রস্তাবিত অপরাধের ধরণ কমবেশি হতে পারে।