Wellcome to National Portal
ভূমি মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ভূমি মন্ত্রণালয়ে আপনাকে স্বাগতম

স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয় গঠন, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের প্রথম এজেন্ডায় ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ, পরিবার প্রতি জমির মালিকানা সর্বোচ্চ সীমা ১০০ বিঘা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলো স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের জন্যে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম উপহার।

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পোড়াগাছাতে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ভূমিহীন ও দুর্যোগকবলিত দুঃস্থ মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনা এবং ভূমিহীনদের জন্য ভূমি ও গৃহ প্রদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে শুরু হওয়া ভূমিহীনদের পুনর্বাসন কার্যক্রমকে ভূমি মন্ত্রণালয় ব্রত নিয়ে এগিয়ে নিচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় অসহায়দের পুনর্বাসন কার্যক্রম ও ভূমিহীনদের মধ্যে ভূমি বন্দোবস্ত প্রদানের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

সামাজিক সুরক্ষা সেবার পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ-এর স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবমুখী দিকনির্দেশনায় নাগরিকদের দক্ষ, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব ভূমি সেবা প্রদানে ভূমি মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে নানামুখী পদক্ষেপ। একসময়ের গতানুগতিক ভূমি ব্যবস্থাপনা আজ ডিজিটাল থেকে রূপ নিচ্ছে স্মার্ট ভূমিসেবায়। স্মার্ট ভূমিসেবার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের স্থাবর সম্পদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে পরিকল্পনা গ্রহণ করে ২০১০ সালেই মৌজা ম্যাপের ডিজিটাল প্রতিলিপি তৈরির কাজ শুরু করার মাধ্যমে ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের যাত্রা শুরু হয়।

এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় উদ্যোগে ডিজিটাইজেশন কাজ শুরু হয় এবং ২০১৬ সালে একটি সামগ্রিক ধারণাপত্র প্রস্তুত করা হয়। ২০১৮ সালে ই-নামজারি সিস্টেম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সার্ভিস ডিজিটাইজেশনে প্রবেশ করে ভূমি মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে পুরো ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের রূপরেখা তৈরি করা হয় এবং সে অনুযায়ী পুরো ভূমিসেবা সিস্টেম ও প্রশাসন ডিজিটাইজেশন করার কাজ শুরু হয় কেন্দ্রীয়ভাবে।

ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম প্রচলিত ম্যানুয়াল সেবা প্রদানের ধারা ও রীতিকে অপরিবর্তিত রেখে কেবল ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় রূপান্তর নয়; বরং ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যুগপৎ সেবা প্রদানের ধারা ও রীতি পরিবর্তন করা হয় এবং সেবা চালু হওয়ার পর চলমান থাকে সেবার ক্রমাগত উন্নয়ন। এজন্য বিধি-বিধান ও নীতিমালা সংস্কার করা হচ্ছে নিয়মিত; এমনকি আইন সংশোধন এবং ক্ষেত্র-বিশেষে নতুন আইন প্রণয়নেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন সায়রাত মহাল যেমন হাটবাজার, জলমহাল, বালুমহাল, চিংড়ি মহাল, লবণ মহাল সহ চা-বাগান ইজারা বাবদ এবং ভূমি উন্নয়ন কর, করবহির্ভূত অন্যান্য খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে ভূমি মন্ত্রণালয়। এছাড়া, অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত ও অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ বিকাশ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ভূমিকা রাখে ভূমি মন্ত্রণালয়। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা এবং জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমেও ভূমি মন্ত্রণালয় অন্যতম সহযোগী মন্ত্রণালয়। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কয়েকশ বছরের পুরোনো এবং অপ্রতিসম ভূমিসেবা ব্যবস্থার টেকসই সংস্কারের অবিরত এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপের পরিপূর্ণতা আনার কাজ মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই কার্যক্রম বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, নারী উন্নয়ন, জলবায়ু অভিযোজন এবং আর্থিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে।